ব্যবসাই দুনিয়া বদলানোর সবচেয়ে শক্তিশালী কাঠামো—এমন মন্তব্য করেছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, সবাই মিলে উপার্জনের মাধ্যমে মানুষের ভাগ্য বদল করাটা স্বর্গীয় অনুভূতি।
বুধবার (৯ এপ্রিল) রাজধানীতে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ বিনিয়োগ সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
ড. ইউনূস বলেন, “১৯৭৪ থেকে ২০২৫—এটা বাংলাদেশের জন্য এক অভূতপূর্ব যাত্রা। স্বল্প সময়েই অনেক পথ পেরিয়েছে দেশটি।” তরুণ প্রজন্মের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “তারা সরকারের অপেক্ষায় না থেকে নিজেরাই পৃথিবী বদলে দেবে। এখন থেকেই নতুন বিশ্ব গড়তে উদ্যোগ নিতে হবে।”
ব্যবসাকে বিশ্বব্যাপী সামাজিক পরিবর্তনের অংশ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “বাংলাদেশে বিনিয়োগ মানেই শুধু দেশের উন্নয়ন নয়, বরং তা বিশ্বব্যাপী সামাজিক ব্যবসায় অংশগ্রহণ।”
তিনি আরও বলেন, “দরিদ্র জনগোষ্ঠীর উন্নতির জন্য একটি শক্তিশালী ফ্রেমওয়ার্ক গড়তে হবে, যা সামাজিক ব্যবসার মাধ্যমেই সম্ভব। বাংলাদেশ এই ক্ষেত্রের আদর্শ স্থান।”
আধুনিক সভ্যতার পরিবেশগত ঝুঁকির কথা তুলে ধরে ড. ইউনূস বলেন, “বর্তমান সভ্যতা আত্মবিধ্বংসী। কার্বন নিঃসরণ বাদ দিয়ে একটি নতুন ও টেকসই সভ্যতা গড়তে হবে।”
সম্মেলনের উদ্বোধনী দিনে বিনিয়োগে অবদান রাখার জন্য চারটি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার দেওয়া হয়।
ইনোভেশন ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পেয়েছে ফ্যাব্রিক লাগবে লিমিটেড, ইএসজি ক্যাটাগরিতে ওয়ালটন, ফরেন ইনভেস্টমেন্ট ক্যাটাগরিতে বিকাশ, এবং লোকাল ক্যাটাগরিতে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ। এ সময় দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়ানওয়ান করপোরেশনের চেয়ারম্যান কিহাক সাং-কে সম্মানসূচক নাগরিকত্ব প্রদান করা হয়।